আসছে কোরবানির ঈদের পরদিন Chutirdin ছুটির দিন যাচ্ছে টাঙ্গুয়ার হাওরে আর #ছুটিরদিন এর ট্যুর মানেই অন্যরকম কিছু, একটা বিশেষ কিছু। একটা দারুন রোমান্টিক জার্নির খুব কাছাকাছি আমরা।
সিলেট সুনামগঞ্জের জলাভূমির দৃশ্যপট সম্পর্কে আমরা কমই অবহিত। এসব জলাভূমির স্থানীয় নাম "হাওর"। জায়গাটা শীতের শুরুতে দূর্বা শ্যামল প্রান্তর আর বর্ষায় থৈ থৈ পানি। দূর দিগন্তে মেঘালয় পাহাড়ের নীলাভ ঢেউ, বিলের কাচ স্বচ্ছ জল ও ছায়াঘন হিজলের অরন্যবলয়। মাঝে মাঝে বনগোলাপ আর কেওড়ার ঝোপ। দেখে মনে হয় একদম অপরিচিত এক স্বপ্নের দেশ, আদিম অথচ সহিষ্ণু। এই স্বাদ না আছে পর্বতে না সমুদ্রে! এখানে মেঘ এসে চুমু খেয়ে যায় পাহাড়ের গায়ে। মেঘালয় পাহাড় থেকে মেঘগুলো যেন উড়ে এসে জুড়ে বসে মনের গহনে। কান পাতলেই শোনা যায় বৃষ্টি পড়ার শব্দ আর দীর্ঘশ্বাসেরা হাওরের জলে ভেসে বেড়ায় অবিরাম। নৌকার ছলাৎ ছলাৎ শব্দের সাথে হাসন রাজার গানের সুরে মন যে কোথায় হারিয়ে যায়! আবহমান বাংলার এক অসাধারন রুপ এই টাঙ্গুয়ার হাওর আর জাদুকাটা নদী যেন জাদুর বশে বশীভূত করে রাখে মনকে। বহু পুরনো কিন্তু ভীষন প্রিয় একটা কবিতা খুব মনে পড়ে এখানে এলেই ……
বৃষ্টি পড়ে বারোটি মাস,
এখানে মেঘ গাভীর মত চড়ে
পরাঙ্মুখ সবুজনালী ঘাস দুয়ার চেপে ধরে...
অবনী বাড়ী আছ ?
তাইতো বর্ষার এই মেঘমেদুরে দিনগুলোতে বার বার ফিরে ফিরে আসি টাঙ্গুয়াতে।আগামী ২৩শে আগস্ট রাতে ( ঈদের পরের দিন রাতে) #
ছুটিরদিন যাচ্ছে টাঙ্গুয়ার হাওরে।
➽ ২৩শে আগস্ট রাতে ( ঈদের পরের দিন রাতে) রাত ১০টায় ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে যাত্রা হল শুরু ।
➽ ২৪ শে আগস্ট ভোরে সুনামগঞ্জ পৌছানোে এবং লেগুনায় করে তাহিরপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা। সুনামগঞ্জ শহর থেকে তাহিরপুর ১.৫ ঘন্টার পথ। সারাদিন বড় নৌকায়(স্থানীয় ভাষায় বড় বজরা) করে টাঙ্গুয়ার হাওর, গোলাবাড়ি, টেকেরঘাট, নীলাদ্রি যাওয়া এবং রাতে নৌকায় থাকে যাবে। যারা হোটেলে থাকতে চান তারা হোটেলেও থাকতে পারবেন। আমাদের সব খাবার নৌকায় রান্না হবে। হাওরের ফ্রেশ মাছ, হাঁসের মাংশ, দেশি মুরগি, সবজি ইত্যাদি। আমরা কোন মটর সাইকেল রাইড ব্যাবহার করব না। সব সময় আমাদের নৌকায় করেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা যাওয়া যাবে।যে কোন সিনিয়র সিটিজেন ও আমাদের সাথে গেলে আমরা সন্মানিত হবো।
➽ ২৫শে আগস্ট খুব ভোরে জাদুকাটা নদীতে ভ্রমণ। তারপর বারেক টিলা ও শিমুল বাগান দেখে সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা। সুনামগঞ্জে এসে হাসন রাজার যাদুঘর দেখা।দুপুর আড়াইটার বাসে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা। আনুমানিক ১০ঃ৩০ টায় ঢাকায় পৌছানো।
➽ পুনশ্চঃ এটি একটি আদ্যোপান্ত রিলাক্স ট্যুর। যেকোন কাপল এবং সিনিয়র সিটিজেন নিঃশঙ্কোচে আমাদের সাথে জয়েন করতে পারেন।
প্রাইস পার পার্সন:-
▶ ৫০০০ টাকা। ( হোটেলে টুইন শেয়ারিং রুম)
প্রাইস পার পার্সন :-
▶ ৪০০০ টাকা ( নৌকায় থাকা)
বুকিং এর জন্য:-
☎ ০১৬৭৪৫৩৬৫৪৪ , ০১৭৭৫৯৫৬৭৩৫
No comment found, be the first